করোনা দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণে নয়-ছয়ের পর এবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও অর্থ সহায়তা কর্মসূচিতেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অর্থ হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছে দরিদ্র মানুষের নামের পাশে। বেশ কিছু জেলায় এই অভিযোগের সতত্যা মেলায় প্রায় আট লাখ নম্বর বাতিল করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নগদ অর্থ সহায়তার জন্য হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নে তালিকাভূক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১শ’ ৭৬ জন। এরইমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে এ তালিকা।
তালিকার খসড়া বের হয়ার সাথে সাথে বের হতে শুরু করে থলের বেড়ালও। হতদরিদ্র ৩শ’ জনের নামের পাশে দেয়া হয়েছে মাত্র ৪টি মোবাইল নাম্বার। এছাড়া একই নাম্বার দেয়া হয়েছে ১০-১২জনের নামে। তালিকায় বিত্তশালীদের পাশাপাশি রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের স্বজনদের নামও।
যদিও তালিকায় অনিয়ম নিয়ে একে অপরকে দুষছেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ।
অনিয়মের এমন চিত্র শুধু হবিগঞ্জেই নয়, তালিকায় নয়-ছয়ের ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাট, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
এমন বাস্তবতায় একই মোবাইল নম্বরে একাধিক সুবিধাভোগীর নাম থাকায় প্রায় ৮ লাখ নম্বর বাতিল হয়েছে।
ত্রাণের টাকা নিয়ে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন দুর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, একটি নম্বরে একাধিকবার টাকা যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই সংশোধন হচ্ছে তালিকা।
হতদরিদ্র ও কর্মহীন ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।